সফিউল আলম সফিঃ আক্কেলপুর (জয়পুরহাট)
আক্কেলপুর উপজেলায় আগামি ১৫দিনের মধ্যে বাজারে মিলবে নতুন আলু। এমন দাবী এখানকার আলু চাষিদের। চলতি রবি মৌসুমের শুরুতেই ৭’শ হেক্টর জমিতে আগাম আলুর চাষ হয়েছে।
চলতি মৌসুমের শুরুতে বাজারে অনিয়ন্ত্রিত উর্দ্ধগতি আলূ বীজ সহ সকল কৃষি উপকরণের দাম ও মান নিয়ে লোকশানের শঙ্কাও করছেন কৃষক।
সরজমিনে মাঠে গিয়ে দেখা গেছে. কৃষকরা আগাম রোপন আলু ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। যে সকল কৃষক আগাম আলূ রোপন করেছিলেন তাদের কয়েক জনের সাথে কথা বলে যতটুকু জানা যায়, এবার আলু জমিতে রোপন করতে তাদের প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। আশানুরুপ উৎপাদন ও দাম না পেলে আলু চাষিদেরকে লোকশানে পড়তে হবে। বাড়বে ঋণের বোঝা এমনটা শঙ্কা চাষিদের।
গত বছর আগাম আলু চাষের মৌসুমে ্একই পরিমান জমিতে আলু রোপন করতে জমি চাষ , বীজ, সার ,কিটনাশক, মুজুরি,সেচ ও শ্রমিক সহ গড়ে প্রায় ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে একই পরিমান জমিতে আলু রোপন করতে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এমনটাই জানালেন, রুকিন্দিপুর ইউনিয়নের আউয়ালগাড়ি গ্রামের আগাম আলুচাষি আলহাজ দেলাওয়ার হোসেন, শাহজালাল, দুলাল হোসেন, আব্দুল লতিফ। রোয়ার গ্রামের আবু কালাম, হাসনাতুজ্জামান শাহিন। পৌর এলাকার শান্তা গ্রামের রুবেল সরদার, ফোরকান সরদার, হিরামিয়া, আল্াউদ্দিন, আব্দুল মোত্তালেব, আজিজার রহমান সহ প্রমুখ আগাম আলূ চাষি।
আলুচাষিরা আক্ষেপ করে আরো জানিয়েছেন, আমরা গত রবি মৌসুমে যে আলু বাজারে ৭’শ থেকে ৮’শ টাকা মন দরে বিক্রী করেছি। সে একই আলু বাজার নিয়ন্ত্রকগণ হিমাগারে রেখে চলতি রোপন মৌসুমে উন্নত জাত ও মান সম্পুর্ন বীজ হিসেবে আখ্যাদিয়ে আমাদের কাছেই অতি থেকে অতিমাত্রা তিরিক্ত লাভে বিক্রী করছেন সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকায় প্রতি ৬০ কেজি ওজনের বস্তা।
এ এলাকায় সব ধরণের বীজের বাজার দর সব সময় নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। তাদের কবল থেকে নিস্কৃতি আমরা কৃষকরা কোন অবন্থাতেই পাই না। এ জন্য কৃষকদের শঙ্কা অমিমুল্য খরচ করে আলু উৎপাদন করে দাম যদি গত মৌসুমের মত হয় তবে আমাদেরকে বড় পরিমান লোকশানের মধ্যে পড়তে হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ইমরান হোসেন জানিয়েছেন, চলতি রবি মৌসুমে আক্কেলপুর উপজেলার একটি পৌর সভা ও ৫টি ইউনিয়নে আগাম হিসেবে ৭’শ হেক্টর জমিতে আগাম আলুর চাষ হয়েছে ।
Leave a Reply